রান্না

সিদ্ধি লাভের গল্প

PSX_20180411_095126

 

দশমীর দিন সকাল থেকেই সিদ্ধি বানানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় আমাদের।
সকালের মাসতুত দাদারা ও মামাতো ভাইয়েরা বড়বাজার থেকে সিদ্ধির সরঞ্জাম কিনে আনে,

PSX_20180411_094151

ঠাকুর বরনের আগেই তৈরী হয়ে যায়। তবে ঠাকুর যতক্ষণ পর্যন্ত না বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, এক ফোঁটাও কারোর চেখে দেখার অনুমতি নেই ।

PSX_20180411_094533
বিসর্জনের পর সবাই গঙ্গা থেকে ফিরলে কলা পাতায় ” ওঁ শ্রী শ্রী দুর্গা মাতা সহায় ” লিখে, দুর্গা বেদী সাত বার প্রদক্ষিণ করে শান্তি জল নেবার পর বড়দের প্রনাম করা হলে তবে মিষ্টি আর সিদ্ধি খাওয়া হয় । মিষ্টির মধ্যে থাকে দেশবন্ধুর সীতাভোগ, মিহিদানা, চারুচন্দ্রের মাতৃভোগ , কুঁচো নিমকি, জিভে গজা প্রভৃতি সঙ্গে ঘুগনি ।

PSX_20180411_094400

এই দিন বাড়ির আবালবৃদ্ধবনিতা সিদ্ধি লাভ করেন। এক বারের একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ল , বলেই ফেলি। একবার পান-ভোজনের শেষে সব ভাইবোন মিলে খাটের ওপর গোল হয়ে বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে । ভগবান আমার গলায় সুর দেননি, তাই আমি নির্বাক শ্রোতা। দাদা গাইছে আর আমারা সবাই চোখ বন্ধ করে গান শুনছি । এমন সময় হঠাৎই মাঝপথে গান থেমে যেতে তাল কেটে গেল । চোখ চেয়ে দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে খ্যাক্ খ্যাক্ করে হাসছে ।ব্যাপার টা হল, দাদাহঠাৎই গান গাইতে গাইতে লক্ষ্য করে আমি নাকি বেশ অনেকক্ষণ ধরেই চোখ বন্ধ করে “dumb charades” এর মত গান টা বোঝাচ্ছি ।

কখনও চিঠি লেখার মতো করে লিখছি ….

কখনও বা ধুপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুজো করছি ।

গানটা ছিল-

” ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো
তোমার মনের মন্দিরে ” ।

PSX_20180411_094322