বাগদা চিংড়ি দিয়ে দুধ-ঝিঙে
“গলদাং বাগদাং রস্যাং নারিকেল সমণ্বিতাম্
অলাবু লোভানাং কৃত্বা তক্ষিতব্যং শুভে যোগে।। ”
নারকেল অথবা লাউয়ের সঙ্গে চিংড়ির যে রসময় রসায়ন, তা বোঝাতে লেখিকা কল্যাণী দত্ত তার লেখা “থোড় বড়ি খাড়া’ বইটিতে এই রসিকতাটি করেছেন।
আমার হেঁশেলে আজকে যে রান্না হতে চলেছে তাতে নারকেল তো অবশ্যই থাকছে, তবে কোনো অনির্দিষ্ট কারণ বশত লাউ আজ এসে পৌঁছাতে পারিনি, তাই বাগদা চিংড়ির সঙ্গে আসর মাতাতে স্টেজে নামছেন শ্রীমান ঝিঙে।
আজ বানাবো বাগদা চিংড়ি দিয়ে দুধ-ঝিঙে

‘দুধ ঝিঙে’ সাবেকি হেঁশেলের অতি পরিচিত একটা নিরামিষ পদ, আমি সেটাই বাগদা চিংড়ি দিয়ে বানাচ্ছি আর দুধের বদলে ব্যবহার করছি নারকেলের দুধ।
আসুন তবে, হাতে-হাতে গুছিয়েনি যা যা লাগবে –
✔একটা গোটা ঝিঙে – ছোট টুকরোয় কাটা ,
✔বাগদা চিংড়ি – ৪ টে ,
✔সাদা সর্ষে – ১ চাচামচ
✔আদা বাটা – ২ চাচামচ
✔নারকেলের গুড়ো-দুধ -২ টেবিলচামচ
✔সর্ষের তেল – ২ টেবিলচামচ
✔ঘি – ১ টেবিলচামচ
✔ভাজা জিরে গুঁড়ো – ১ চাচামচ
✔কাঁচা লংকা – ৩ টে ( একটা চেরা, দুটো গোটা )
✔নুন চিনি স্বাদ মতো
✔সামান্য নারকেল কুরো সাজানোর জন্য
শুরু করি তবে –
〰〰〰〰〰
🔴 বাগদা চিংড়ি গুলো নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন
🔴 এবার ওই তেলে সর্ষে আর চেরা কাঁচা লংকা ফোড়ন দিন,
🔴 একটু ভেজে আদা আর ঝিঙে গুলো দিয়ে সামান্য ভেজে নিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিন
🔴 ঝিঙে থেকে জল বেরহলে পরিমাণ মতো নুন চিনি দিন
🔴 আধকাপ জলে গুড়ো নারকেল-দুধ গুলে নিয়ে ঝিঙেতে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে ফোটান
🔴 ভালো ভাবে ফুটে ধরলে চিংড়ি গুলো দিয়ে আরও ৫/৭ মিনিট ফোটান

🔴 নামিয়ে নিয়ে ঘি, ভাজা জিরে গুঁড়ো, গোটা লংকা গুলো দিয়ে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রাখুন
🔴 ওপরে সামান্য নারকেল কুরো ছড়িয়ে গরম ভাতের সাথে হাসিমুখে পরিবেশন করুন।